MAGNETIC HYSTERESIS

 1.চৌম্বক হিস্টেরিসিস বা চৌম্বক শৈথিল্য বলতে কি বোঝায়?

 একটি চৌম্বক পদার্থকে বাইরে থেকে চৌম্বকক্ষেত্র প্রয়োগ করে চুম্বকিত করা হলে একটি পূর্ণচুম্বকন চক্রের ক্ষেত্রে দেখা যায় চৌম্বক আবেশ ( B) বা চুম্বকন পরিমাত্রা (M) সর্বদা চৌম্বকক্ষেত্র প্রাবল্য  (H) এর পশ্চাদবর্তি হয়। চৌম্বক ক্ষেত্র প্রাবল্যের মান হ্রাস বা বৃদ্ধি করলে চৌম্বক আবেশ (B)বা চুম্বকন মাত্রার (M)এর হ্রাস বা বৃদ্ধি ঘটে  ।চুম্বকন মাত্রার এই পশ্চাদ্বর্তিতকে হিস্টেরিসিস বলা হয়।

 2.হিস্টেরিসিস লুপ  বলতে কি বোঝায়?

একটি অয়শচৌম্বক পদার্থকে বাইরের থেকে  চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা চুম্বকিত করার ক্ষেত্রে একটি পূর্ণচক্রে চৌম্বক ক্ষেত্রপ্রাবল্য (H) এর সাপেক্ষে চুম্বকন পরিমাত্রা(M )বা চৌম্বক আবেশ (B)এর লেখচিত্র অঙ্কন করা হলে একটি বদ্ধ লুপ্ত  পাওয়া যায়। 

                                               

এই লুপগুলি যথাক্রমে M-H লুপ ও B-H লুপ নামে পরিচিত ।এখন এই B-H লুুপটিকে সাধারণভাবে হিস্টেরিসিস  লুপ বলা হয়। 

3. হিস্টেরিসিস ক্ষয় বলতে কি বোঝায়?

কোন পদার্থকে বারবার চুম্বকিত -বিচুম্বিকিত করলে কিছু পরিমাণ শক্তির অপচয় হয় যা তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। একে হিস্টোরিসিস অপচয় বলা হয় ।দেখা যায় চৌম্বক পদার্থের প্রতি একক আয়তনে প্রতি চুম্বকন চক্রে হিস্টোরিসিস অপচয় B-H লুপের অন্তর্গত ক্ষেত্রফলের সমান।

4.কোন  অয়শচৌম্বক  পদার্থের B-H লুপের তাৎপর্য কি?  

কোন পদার্থের B-H লুপের ক্ষেত্রফল থেকে চুম্বকন ও বিচুম্বকের ক্ষেত্রে শক্তি ক্ষয়ের ধারণা পাওয়া যায়। দ্বিতীয়ত, এই লুপের আকার থেকে পদার্থটির চৌম্বক ধারণক্ষমতা ও সহনশীলতার পরিমাপ পাওয়া যায়। ফলে B-H  লুপ থেকে পদার্থটি কোন কোন কাজে ব্যবহারের উপযুক্ত সেই সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় ।তৃতীয়ত , B-H লেখচিত্র থেকে দেখা যায়  এর মান সর্বত্র একই নয় ।একটি পদার্থের ক্ষেত্রে   𝝁 এর মান বিভিন্ন অবস্থায় বিভিন্ন হতে পারে।