Electric Charge|Unit |Dimension|Induction

📚স্থির তড়িৎ এর প্রাথমিক ঘটনাবলী📚
তড়িৎ আধান (Electric Charge ) 

যে ভৌত ধর্মের জন্য কোন বস্তু অপর কোনো বস্তুর ওপর তড়িৎ বল প্রয়োগ করে তাকে তড়িৎ আধান বলা হয়। 

তড়িদাধানের  প্রকারভেদ:-

 দুই প্রকার i)ধনাত্মক আধান(Positive charge ) এবং ii)ঋণাত্মক আধান (Negative charge)

তড়িৎ আধান স্কেলার রাশি ।

আধানের একক :-

S.Iএকক:-কুলম্ব(Coulomb ) 

CGS একক :- esu বা স্ট্যাট কুলম্ব (Stat  coulomb )


কুলম্ব ও   esu এর মধ্যে সম্পর্ক :-

\(1C=3\times10^9\)

আধানের মাত্রা :- [T I ]

স্থির তড়িৎ 

দুটি বস্তুকে পরস্পর ঘর্ষণ করলে উভয়েই তড়িৎগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ইলেকট্রনের প্রতি বেশি আসক্ত সম্পন্ন বস্তুটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে ধনাত্মক তড়িৎ এবং অপর বস্তুটি ইলেকট্রন বর্জন করে ধনাত্মক তড়িৎস্থ হয় ।অপরিবাহী পদার্থের ধর্ষণের ফলে উৎপন্ন তড়িৎ উৎসস্থলেই সীমাবদ্ধ থাকে ।তাই এই প্রকার তড়িৎকে স্থির তড়িৎ বলা হয়। 

আকর্ষণ / বিকর্ষণ বল 

সমধর্মী তড়িৎগ্রস্থ বস্তু পরস্পরকে বিকর্ষণ করে এবং বিপরীত ধর্মী তড়িৎগ্রস্ত বস্তু পরস্পরকে আকর্ষণ করে। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে সমধর্মী দুটি তড়িৎগ্রস্থ বস্তু পরস্পরকে আকর্ষণ করতেও পারে ।উচ্চ তড়িৎগ্রস্থ একটি বস্তুকে সমধর্মী কিন্তু  কম মাত্রায় আহিত একটি বস্তুর সামনে আনা  হলে আবিষ্ট আধানের মান দ্বিতীয়  বস্তুর  নিজস্ব আধানের তুলনায় বেশি হলে বস্তু দুটির মধ্যে বিকর্ষণ বলের পরিবর্তে আকর্ষণ বল কার্যকর হয়। 

আকর্ষণ অপেক্ষায় বিকর্ষণই  তড়িৎগ্রস্থতার প্রকৃষ্ট প্রমাণ। 

একটি তড়িৎগ্রস্ত বস্তু অপর একটি বিপরীত তড়িতধর্মী  বস্তুকে আকর্ষণ করে এবং একই ভাবে  একটি নিস্তড়িত বা অনাহিত বস্তুকেও আকর্ষণ করে ।তাই কেবলমাত্র আকর্ষণ বল থেকেই বলে দেওয়া যায় না বস্তুটি তড়িৎগ্রস্থ কিনা ।কেবলমাত্র  সমধর্মী তড়িৎগ্রস্থ বস্তু পরস্পরকে বিকর্ষণ করে ।তাই বলা যায় আকর্ষণ অপেক্ষায় বিকর্ষণই  তড়িৎগ্রস্থতার প্রকৃষ্ট প্রমাণ। 

অহিতকরনে পরমাণুর ভরের  পরিবর্তন। 

পরমাণু স্বাভাবিক অবস্থায় নিস্তড়িত ।এটি ইলেকট্রন গ্রহন করলে ঋনাত্মক তড়িৎগ্রস্থ  এবং ইলেকট্রন বর্জন করলে ধণাত্মক তড়িৎগ্রস্থ হয়।ইলেকট্রনের ভর অতি নগণ্য। তাই পরমাণু ইলেকট্রন গ্রহণ বা বর্জন করলে পরমাণুর ভরের পরিবর্তন অতি নগণ্য ।ইলেকট্রনের ভর গণ্য করা হলে পরমাণুকে ধনাত্মক তড়িৎস্থ করা হলে এর ভর  হ্রাস পায় এবং ঋণাত্মক তড়িৎগ্রস্থ করা হলে এর ভর বৃদ্ধি পায় ।

ইলেকট্রনের আধান। 

একটি ইলেকট্রনের আধানের মান=\(1.6\times 10^{-19}\)কুলম্ব  ।এর তুলনায় কম মানের আধান বা এর ভগ্নাংশ মানের আধান বাস্তবে সম্ভব নয় ।

তড়িৎ আধানের নিত্যতা সূত্র।

 কোন বিচ্ছিন্ন বস্তু বা বস্তু সংস্থার মোট আধানের পরিমাণ সর্বদা অপরিবর্তিত থাকে। আধানের সৃষ্টি বা বিনাশ নেই ।আহিতকরণ পদ্ধতিতে ঋণাত্মক ধনাত্মক আধান কে পৃথক করা হয় মাত্র। তড়িৎ আধানের নিত্যতা সূত্রটি একটি সার্বজনীন সূত্র এর ব্যতিক্রম দেখা যায় না।

 আধানবাহক 

পরিবাহীতে(conductor)মুক্ত ইলেকট্রন(free Electrons)গুলি তড়িৎ পরিবহন করে। অপরিবাহীতে(Insulator ) মুক্ত ইলেকট্রন না থাকায় এরা তড়িৎ পরিবহন করতে পারেনা ।অর্ধপরিবাহী (Semiconductor )মুক্ত আধান বাহক ( ইলেকট্রন ও হোল (Hole)  )তড়িৎ পরিবহন করে ।

 তড়িদাবেশ[Electrostatic Induction]

 একটি আহিত বস্তুকে অন্য একটি অনাহিত বস্তুর সামনে আনা হলে অনাহিত বস্তুটি তড়িৎগ্রস্ত বস্তুর ন্যায় আচরণ করে এবং  আহিত বস্তুটি সরিয়ে দিলে অনাহিত বস্তুটির তড়িৎ ধর্ম সম্পূর্ণরূপে লোপ পায়। এই ঘটনাকে তড়িদাবেশ  বলা হয়।

আবেশী আধান ও  অবিষ্ট আধান

যে আধানের প্রভাবে তড়িৎ আবেশের সৃষ্টি হয় তাকে আবেশী আধান বলা হয়। তড়দাবেশের ফলে সৃষ্ট আধান কে অবিষ্ট আধান বলা হয়। তড়িৎ আবেশের ফলে সামনে প্রান্তে বিপরীত ধর্মী  আধান এবং দূরের প্রান্তে সমধর্মী আধানের সৃষ্টি হয়। 

সম্পূর্ণ আবেশের ক্ষেত্রে আবেশী আধান ও আবিষ্ট আধানের মান সমান হয় ।

আকর্ষণের পূর্বে আবেশ সৃষ্টি হয়। 

আবেশের ফলে অনাহিত বস্তুর সামনের প্রান্তে বিপরীত ধর্মী আধান এবং দূরতম প্রান্তে সমধর্মী আধানের সৃষ্টি হয়। বিপরীত ধর্মী আধানের মধ্যে আকর্ষণ বল এবং সমধর্মী আধানের মধ্যে বিকর্ষণ বল কাজ করে। কিন্তু বিপরীত ধর্মী অধান সামনে থাকায় আকর্ষণ বলের মান বিকর্ষণ বলের মানের তুলনায় বেশি হয়। ফলে একটি লব্ধি আকর্ষণ বল কার্যকর হয় ।

পরিবাহীতে আধানের অবস্থান :

আধান সর্বদা পরিবাহীর বহিপৃষ্ঠে অবস্থান করে ।

শুষ্ক বাতাস ও জলীয় বাষ্প পূর্ণ বাতাস 

শুষ্ক বাতাস অন্তরক জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস তড়িৎ এর পরিবাহী ।বর্ষাকাল অপেক্ষা শীতকালে তড়িতের পরীক্ষাগুলি ভালোভাবে করা যায়।

Click here for